নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলনবিলে আকষ্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে হাজার হাজার বিঘা জমির বোরো ধান। এর মধ্যে কিছু জমি থেকে পানি নেমে গেলেও এখনো পানি রয়ে গেছে অনেক জমিতে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অসংখ্য কৃষক। আর তাদের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখতে ও সহানুভূতি জানাতে ছুটে চলেছে তাড়াশ উপজেলা কৃষক দল।
গত কয়েকদিন হলো তাড়াশ উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি গোপাল চন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে সেসব কৃষকদের কাছে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন উপজেলা ও ইউনিয়ন কৃষক দলের নেতাকর্মীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১১ জুন) সারাদিন তাড়াশের চলনবিল অধ্যুষিত মাগুড়া বিনোদ ও সগুনা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের খোঁজখবর নেন ও সার্বিকভাবে পাশে থাকার কথা জানান তারা। এদিন তাড়াশ উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মোমিনসহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারাও সঙ্গে ছিলেন।
তাড়াশ উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন বলেন, আকষ্মিক বন্যায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কৃষক দলের নেতাকর্মীদের মতো আমরাও তাদের খোঁজ খবর রাখছি। ইতোমধ্যে আমাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি গোপাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, চলনবিলে আকষ্মিক বন্যায় প্রচুর ফসল নষ্ট হওয়ায় কৃষক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা সার্বক্ষণিক তাদের কাছে যাচ্ছি এবং খোঁজ খবর রাখছি। তাদের শান্তনা দিচ্ছি, মনোবল ধরে রাখানোর চেষ্টা করছি। অনেক কৃষক কান্নায় ভেঙে পড়ছে। বিভিন্ন ফসলেই মূলত স্বপ্ন দেখে এ এলাকার কৃষক। তাদের স্বপ্ন চোখের সামনে নষ্ট হতে দেখে তারা হতবাক হয়ে পড়েছেন। আমি সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো, সরকার যেন এই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ান। একইসঙ্গে বারবার যেন শস্যভাণ্ডার খ্যাত চলনবিলের কৃষক এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে পরিকল্পিতভাবে চলনবিলের দিকে নজর দেওয়া উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসি/বার্তাকক্ষ